Monday, May 17, 2021

News Inquired : ঘাটালের হিরো দেব করোনা আক্রান্তদের বাড়ির দরজায় খাবার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন

ঘাটালের হিরো দেব করোনা আক্রান্তদের বাড়ির দরজায় খাবার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন করোনা পরিস্থিতিতে ঘাটালের মানুষদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ালেন টলিউডের বাদশা দেব। ঘাটালের করোনা আক্রান্তদের বাড়ির দরজায় খাবার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন তিনি তার এই উদ্যোগ নেটিজেনদের কাছে যথেষ্ট প্রসংসা কুড়িয়েছে

News Inquired : ঘাটালের হিরো দেব করোনা আক্রান্তদের বাড়ির দরজায় খাবার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন
News Inquired : ঘাটালের হিরো দেব করোনা আক্রান্তদের বাড়ির দরজায় খাবার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন

এটাই প্রথম নয়, করোনা পরিস্থিতিতে এর আগেও সাধারণ মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন অভিনেতা দেব । সম্প্রতি টলি টেলস ও সর্দারনি পরমজিত কৌর মেডিকেল ট্রাস্টের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন দেব। প্রতিদিন এখান থেকে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের।

কোন জায়গা থেকে খাবার সংগ্রহ করতে হবে সেই ঠিকানাও দিয়েছিলেন টলিউডের এই অভিনেতা । আপাতত ৫০জনের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে বলে তিনি জানান ।

তবে পরে চাহিদা বাড়লে এই সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অভিনেতা লেখেন, 'ঘাটাল অন্তর্গত এলাকায় যাঁরা করোনা আক্রান্ত, তাঁদের নির্দিষ্ট বাসস্থানে খাদ্য সরবরাহ করা হবে। খাদ্যগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা সত্বর যোগাযোগ করুন।' এই পোস্টেই ৪টি ফোন নম্বর শেয়ার করেছেন তিনি।

দাবি, ওই নম্বরে ফোন করে উপযুক্ত প্রমাণ বলে আবেদন করলেই করোনা আক্রান্তের বাড়িতে পৌঁছে যাবে খাবার। সেই সঙ্গে দেব উল্লেখ করেছেন, খাবার পাওয়ার জন্য করোনা রিপোর্ট পজিটিভ হওয়া জরুরী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সমস্ত তথ্য দিয়ে এই পোস্টটি আজই শেয়ার করেছেন দেব। তাঁর এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরাও।

করোনা পরিস্থিতিতে শেষ হয়েছে নির্বাচন। রাজ্যের শাসকদলের হয়ে প্রচারের মঞ্চে দেখা গিয়েছে দেবকে। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে দলের কথা বলার পাশাপাশি তাঁর মুখে বারে বারে উঠে এসেছে সুরক্ষার কথা। জনসভায় গিয়ে তিনি বারবার সতর্ক করেছেন,

মাস্ক পরতে বলেছেন দর্শকদের। বসিরহাটের তেঁতুলিয়া হাই স্কুল মাঠের সভামঞ্চ থেকে ভাইরাল হয়েছিল দেবের বক্তব্যের একটি ভিডিও। সেখানে তিনি বলেছিলেন, 'যেখানে যেখানে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে অন্তত সেই জায়গাগুলিকে বাঁচান। লকডাউন না

হলেও সেখানে কিছু কিছু করোনা সতর্কতা বিধি চালু করুন ও সেগুলিকে কঠোরভাবে মেনে চলুন। যাতে মানুষ বেঁচে থাকে, মানুষ যাতে ভালো থাকে এমন কাজ করুন। কে ক্ষমতায় আসবে তা আমরা ২ তারিখে দেখে নেব। কিন্তু তার আগে মানুষকে বাঁচিয়ে

রাখতে হবে তাই না!' দেবের এই কথা শেষ হতে না হতেই সভাস্থল ফেটে পড়েছিল হাততালিতে।

News Inquired : কোভিশিল্ড (Covishield) নিয়ে কেন্দ্রের নিয়ম বদল

কোভিশিল্ড (Covishield) নিয়ে কেন্দ্রের রোজ নিয়ম বদল চলছেই। গত সপ্তাহতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সেরামের কোভিশিল্ড (SII) প্রতিষেধকের দু'টি টিকার ব্যবধান বাড়িয়েছে ।

News Inquired : কোভিশিল্ড (Covishield) নিয়ে কেন্দ্রের নিয়ম বদল
News Inquired : কোভিশিল্ড (Covishield) নিয়ে কেন্দ্রের নিয়ম বদল 

তারা জানিয়েছে, প্রথম টিকা পাওয়ার পর তিন থেকে চার মাসের শেষে দ্বিতীয় টিকা দেওয়া হবে । কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মানুষের মধ্যে প্রবল ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

যাঁরা আগেই দ্বিতীয় টিকার জন্য 'কোউইন' অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন, তাঁদেরও কি নির্ধারিত ১২-১৬ সপ্তাহের ব্যবধানে পরের ডোজ দেওয়া হবে ? এই নিয়ে জটিলতা ছিলই । এরই মধ্যে এই বিষয়টি নিয়েই রবিবার নতুন বার্তা দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health),

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এক বিবৃতিতে রবিবার জানিয়েছে, নতুন নিয়মে ৮৪ দিনের আগে কেউ দ্বিতীয় টিকার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না। তবে নতুন নিয়ম চালু হওয়ার আগে যাঁরা ৮৪ দিনের কম সময়ে নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাঁদের নাম

বাতিল করা হবে না। তাঁরা নির্ধারিত দিনেই টিকাকেন্দ্রে (Vaccination Center) গিয়ে দ্বিতীয় টিকা নিতে পারবেন। কিন্তু উপভোক্তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অন্য কথা বলছে। অনেকেই জানিয়েছেন, টিকা নিতে গিয়ে তাঁদের ফিরে আসতে হয়েছে। ৮৪ দিনের

আগে টিকা দিতে রাজি হচ্ছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা (Health Worker)। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে এই অভিযোগ আসছে। তবে এই ধরণের অভিযোগ সামনে আসতেই বিবৃতি জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়ে জানিয়ে দিয়েছে ,

কোনও টিকা প্রাপককে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। তবে উপভোক্তাদের উদ্দেশেও কেন্দ্রের বার্তা, তাঁরা চাইলে ৮৪ দিন পর টিকা নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।

তবে নতুন করে কো-উইন app এর মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করার সমস্যা অনেক। প্রথমত কো-উইনে নাম নথিভুক্ত করার জন্য ওটিপি সব ক্ষেত্রে আসছে না।

এছাড়াও রাজ্যের নিম্ন আয়ের মানুষ ও প্রান্তিক মানুষদের সবার স্মার্ট ফোন নেই। তাই তারা কী ভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন ? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন ।

চিকিত্‍সকরা বলছেন, 'কেন্দ্র টিকাকরণ নিয়ে যেটা করছে সেটা কোনও ভাবেই ভালো চিত্র তুলে ধরছে না, এর ফলে কেন্দ্রের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে ।

News Inquired : করোনার সঙ্গে লড়তে সোমবারই বাজারে আসছে ডিআরডিও’র ওষুধ

সোমবারই আসতে চলেছে ভাল খবর। সোমবারই প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) তাদের ২ -ডিঅক্সি-ডিগ্লুকোজ বা ২-ডিজির প্রথম ব্যাচ বাজারে আনতে চলেছে।

News Inquired : করোনার সঙ্গে লড়তে সোমবারই বাজারে আসছে ডিআরডিও’র ওষুধ
News Inquired : করোনার সঙ্গে লড়তে সোমবারই বাজারে আসছে ডিআরডিও’র ওষুধ

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই ওষুধ সফল হলে নিঃসন্দেহে তা এক ঐতিহাসিক সাফল্য হবে।

করোনা যুদ্ধে গেম চেঞ্জার হতে পারে এই ২-ডিজি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের দফতরের (RMO India) টুইটার হ্যান্ডেলে এই সুখবরটি দেওয়া হয়েছে।

টুইটে বলা হয়েছে, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় অ্যান্টি কোভিড ড্রাগ ২ডিজির প্রথম ব্যাচের প্রকাশ করবেন। একটি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে তার প্রকাশ ঘটবে। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ও ডঃ রেড্ডির ল্যাবের যৌথ প্রয়াসে এই ওষুধ তৈরি হয়েছে।’

সে সময় দেখা যায় এই ওষুধ মানুষের শরীরের কোষে করোনা সংক্রমণ ছড়ানো রোধ করতে পারে। এরপরই অনুমোদন নিয়ে শুরু হয় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। ২০২০ সালের অক্টোবরে দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়। ট্রায়ালে দারুণ সাড়া মেলে।

২-ডিঅক্সি-ডিগ্লুকোজ বা ২-ডিজি মূলত পাউডার রূপে আসবে। জলে গুলে খেতে হবে তা। গোটা শরীরে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়বে। ভাইরাসে আক্রান্ত কোষগুলিতেও পৌঁছে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এর। ভাইরাসের বৃদ্ধিকে রোধ করার ক্ষমতা রয়েছে তার মধ্যে।

ভাইরাসের প্রোটিন এনার্জি উত্‍পাদন বন্ধ করে দেবে এই ওষুধ। ফুসফুসের আক্রান্ত কোষে গিয়েও সক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারবে এই ওষুধ।

দ্বিতীয় ট্রায়ালের পর দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গনা, কর্নাটক, বেঙ্গালুরু ও তামিলনাড়ুর ২৭টি করোনা হাসপাতালে ২২০ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা হয় এই ওষুধের।

সেখানে ভাল ফল আসায় অনুমোদন পায় ২-ডিজি। সোমবার ১০,০০০ ডোজ় আনা হবে।

News Inquired : টিকা নেওয়ার পর কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে সম্পূর্ণ জানুন

করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার একমাত্র হাতিয়ার টিকা। কিন্তু ভ্যাকসিন নিয়েও রয়েছে বিভিন্ন ভয়-ভীতি। মনে জাগছে বিভিন্ন সংসয় , টিকা নেওয়ার পর কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে সেই আশঙ্কায় ভুগছেন অনেকেই । এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ভুল ধারণা। টিকা নেওয়ার পর জ্বর এলেও কেউ কেউ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ভেবে বসেন। তাই সকলের আগে জানা দরকার টিকা নেওয়ার পর কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

News Inquired :  টিকা নেওয়ার পর কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে সম্পূর্ণ জানুন
News Inquired :  টিকা নেওয়ার পর কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে সম্পূর্ণ জানুন 


টিকা নেওয়ার পর কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে তার একটি তালিকা

1] জ্বর
2] হালকা গা-হাত ব্যথা
3] মাথা ব্যথা
4] বমি-বমি ভাব
5] ক্লান্তিভাব
6] টিকা নেওয়া হাত ফুলে ব্যথা হওয়া

এই সমস্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলি খুবই সাধারণ তাই এই ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে চিন্তার কিছু নেই।

চিকিত্‍সকেরা বলছেন, এগুলি খুব স্বাভাবিক। এধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে চিন্তার কিছু নেই। বরং বুঝতে হবে আপনার শরীরে টিকা কাজ করছে। ৪৮ ঘণ্টা পর উপসর্গগুলি মিলিয়ে যায়। তবে এই ৪৮ ঘণ্টা কখনও কখনও খুবই অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই সেই সমস্ত অস্বস্তি কাটানোর জন্য রইল কিছু উপায়।

ব্যথার উপসম হবে কীভাবে ?

যে হাতে টিকা নিয়েছেন টিকাকরণের কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই সে হাতে ব্যথা হতে শুরু হয় । অনেকের আবার সেই হাত সামান্য ফুলেও যায়। একে কোভিড আর্ম বলা হয়ে থাকে। তবে সেই ব্যথা কমাতে পেনকিলার না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্‍সকরা। চিকিত্‍সকরা বলছেন, নিজে থেকে কমতে দিন ব্যথা। তবে আরাম পেতে বরফ দেওয়া যেতে পারে। হাত যাতে শক্ত না হয়ে যায়, তাই হাত হালকা নাড়ানো যেতে পারে। প্রয়োজনে হাতের কিছু সহজ স্ট্রেচিংয়ের ব্যায়াম করতে পারেন।

জ্বর এলে কী করব ?

টিকার প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরই জ্বর আসতে পারে। চিকিত্‍সকরা বলছে, শরীরে তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে থাকলে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের উপরে উঠলে দরকারে প্যারাসিটামল খাওয়া যেতেই পারে, তবে জলপট্টি দিয়েও কমানো যেতে পারে জ্বর। এক্ষেত্রে যদি ২দিনের বেশি জ্বর থাকে বা কাঁপুনি দিয়ে বারবার জ্বর আসে তবে অবশ্যই চিকিত্‍সকের দ্বারস্থ হতে হবে।


বমিভাব কমাতে কি করবেন ?

টিকা নেওয়ার পর সাধারণ খাওয়া-দাওয়ায় কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকে না। খুব তেল-মশলা দেওয়া রান্না বা প্রসেস্‌ড ফুড টিকা নেওয়ার পর কয়েকদিন না খাওয়াই ভাল। প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে দিনভর। তার পরেও বমি-বমি ভাব লাগলে লেবু-জল, আদা চা বা পিপারমেন্ট টি খাওয়া যেতে পারে। তাতে স্বস্তি মেলে। এছাড়া দইয়ের ঘোল, ফলের রস, ডাবের জল, ফল-সবজির স্মুদির মতো পানীয় বেশিবার খাওয়া যেতেই পারে। এগুলি শরীরে এনার্জি জোগায়, ফলে ক্লান্তিও কাটে খানিকটা।

গা-হাতের ব্যথা কমাতে কি করবেন ?

চিকিত্‍সকদের একাংশর মতে টিকা নেওয়ার পরদিন বিশ্রামে থাকাই ভাল । বিশ্রাম পেলে ক্লান্তিভাব কাটার পাশাপাশি গা-হাতের ব্যথাও অনেকটা কমে যাবে । এছাড়া গা হাতের ব্যথা কমাতে গরম জলে নুন মিশিয়ে স্নান করতে পারেন। আবার দিনের শেষে এক গামলা জলে বাথ সল্ট মিশিয়ে পা ডুবিয়ে বেশ খানিকটা সময় বসে থাকলে আরাম পেতে পারেন। তবে নিয়মিত যোগা বা হালকা ব্যায়ামে মিলতে পারে উপকার।

Thursday, May 13, 2021

সমীক্ষা বলছে স্থূলতা বাড়াতে পারে করোনার সংক্রমণ


সমীক্ষা বলছে স্থূলতা বাড়াতে পারে করোনা র সংক্রমণ
ডায়াবিটিস, হৃদযন্ত্রের সমস্যা , স্থূলতা এই ধরনের সমস্যা থাকলে তা কোভিডের বিপদ বাড়িয়ে দিতে পারে। এই কথা অনেক দিনই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষায়।  ইজরায়েলের কয়েক জন গবেষক এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন যে স্বাভাবিকের থেকে কতটা ওজন বৃদ্ধি করোনা সংক্রমণের হার কতটা বাড়াতে পারে 

ইজরায়েলেরে 'চেইম শেবা মেজিক্যাল সেন্টার'-এর বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণায় দেখিয়েছেন, 'বডি মাস ইন্ডেক্স' বা 'বিএমআই'-এ বৃদ্ধির সঙ্গে কোভিডের সংক্রমণের আশঙ্কা প্রায় 22% পর্যন্ত বেড়ে যায়।

ওজনকে (কিলোগ্রাম এককে) উচ্চতার (মিটার এককে) স্কোয়ার দিয়ে ভাগ করলে যে ফল পাওয়া যায়, তাকেই  বিএমআই (BMI)বলে ধরা হয়।


যাঁদের বিএমআই ৩০ থেকে ৩৪.৯-এর মধ্যে, তাঁদের 'ক্লাস ওয়ান ওবেসিটি'র মধ্যে রাখা হয়। এই বিভাগের মানুষের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। আর যাঁরা 'ক্লাস টু ওবেসিটি'র মধ্যে পড়ছেন (বিএমআই ৩৫ থেকে ৩৯.৯) তাঁদের ক্ষেত্রে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে ৩৮ শতাংশ। 'ক্লাস থ্রি ওবেসিটি' (বিএমআই ৪০ বা তার বেশি)-র ক্ষেত্রে সেটাই বেড়ে যায় প্রায় ৮৬ শতাংশ। সমীক্ষা বলছে, বিএমআই প্রতি ১ একক বৃদ্ধিতে ২ শতাংশ করে বাড়ে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা।

ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলে কোভিড সংক্রমণের পর  আশঙ্কা থাকে যথেষ্ট বেশি । শুধু তাই নয়, ইজরায়েলের এই গবেষকদের সমীক্ষা থেকে বোঝা যাচ্ছে, সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়ে মেদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে। তাই করোনা সংক্রমণ এড়াতে মেদ কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

Wednesday, May 12, 2021

চিন্তা বাড়ালো করোনা , দৈনিক মৃত্যুর হার পার করলো চার হাজার

চিন্তা বাড়ালো করোনা , দৈনিক মৃত্যুর হার পার করলো চার হাজার
 করোনার গ্রাফ (COVID-19) স্থির থাকছে না, কখন তা নিম্নমুখী আবার ২৪ ঘণ্টা পরই  দেখা যাচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী। এই মঙ্গলবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩০ হাজারের নিচে নেমে গেলেও পরদিন বুধবার ফের তা বেড়ে গেল। যদিও সাড়ে ৩ লক্ষের গণ্ডি টপকায়নি আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু মৃতের সংখ্যা এদিন ফের ৪ হাজারের গণ্ডি পার করেছে।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪২১ জন। মঙ্গলবারের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা  বেড়েছে অনেকটাই। মঙ্গলবার ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৪২ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। এদিন ফের মৃত্যুর সংখ্যা ৪ হাজারের গণ্ডি টপকালো।


মঙ্গলবার যেখানে ৩ হাজার ৮৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেখানে বুধবার ৪ হাজার ২০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আশার বিষয় কমেছে দৈনিক সুস্থতার হারও। মঙ্গলবার ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে বুধবার ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩৩৮ জন সুস্থ হয়েছেন। এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৩৮ জন। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ৪ হাজার ৯৯ জন। এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৯৩ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৪২ জন। দেশের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৫৪ হাজার ১৯৭ জনের। মোট ১৭ কোটি ৫২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯৯১ জনকে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

 স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, দেশের ৮২.৭৫ শতাংশ (১ কোটি ৯০ লক্ষ ২৭ হাজার ৩০৪ জন) করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন। এক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৬.১৬ শতাংশ (৩৭ লক্ষ ১৫ হাজার ২২১ জন)। ভারতে আগামী কয়েক দিনে করোনার সংক্রমণ কমবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে এও জানানো হয়েছে, ৭ মে ভারতে ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেখানে ৯ মে ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৭৩৮ জন আক্রান্ত হন। গত ২ দিন আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। ১০ মে ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ১৬১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ও ১১ মে ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৪২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।