Monday, May 17, 2021

নারদ কাণ্ডের (Narada Case) সুত্র ধরে 'গ্রেপ্তার' হলেন রাজ্যের নব নিযুক্ত পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম

নারদ কাণ্ডের (Narada Case) সুত্র ধরে 'গ্রেপ্তার' হলেন রাজ্যের নব নিযুক্ত পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
politics,Narada sting case: CBI arrests Bengal ministers Firhad Hakim,
নারদ কাণ্ডের  (Narada Case) সুত্র ধরে 'গ্রেপ্তার' হলেন রাজ্যের নব নিযুক্ত পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম

সোমবার সকালেই সিবিআই (CBI) কর্তারা চেতলার বাড়ি থেকে তাঁকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যান । তবে এরপরও তেমন বিচলিত নন মন্ত্রী। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান , 'আমাকে নারদকাণ্ডে সিবিআই গ্রেপ্তার করল।
স্পিকারের অনুমতি ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোর্টে দেখে নেব।' সূত্রের খবর, নারদ কাণ্ডে আরও দুই অভিযুক্ত মদন মিত্র, সুুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁদেরও গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হয়েছে সিবিআই দপ্তরে। বিষয়টিকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক
প্রতিহিংসা বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও সিবিআইয়ের দাবি, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সোমবার সকালে হঠাত্‍ ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখা যায়। এরপরই তাঁদের পিছনে
প্রবেশ করেন সিবিআইয়ের কর্তারা। কেন হঠাত্‍ সিবিআইয়ের দল, কেন্দ্রীয় বাহিনী ,- তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন । এরপর তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে সোজা গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বেরনোর সময়ে ফিরহাদ নিজেই জানান, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তবে এর
মোকাবিলা তিনি আদালতে করবেন বলেও জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে অবশ্য ফিরহাদের বাড়ির সামনে মোতায়েন হওয়া বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বাক বিতন্ডা শুরু হয়। চেতলায় পথ অবরোধ শুরু করেন তাঁরা, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে, এটা আঁচ করে গোটা নিজাম প্যালেস মুড়ে ফেলা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে।

এদিকে, নারদ কাণ্ডে আগেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত এগিয়ে যাওয়ার সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন রাজ্যপাল নিজেই , তার ভিত্তিতেই আজ এই মামলায় চার্জশিট দেওয়ার কথা সিবিআইয়ের । তার আগে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে ফিরহাদ
হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়দের স্রেফ আটক করা হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। তবে আটকের জন্য এত কেন্দ্রীয় বাহিনী, অফিসার কেন? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। যে ভাবে ফিরহাদ হাকিমকে বাড়ি থেকে কার্যত তুলে নিয়ে যাওয়া হল, তাকে 'অনৈতিকভাবে' গ্রেপ্তারি বলেই মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের প্রতিক্রিয়া, 'একজন বিধায়ককে স্পিকারের অনুমতি ছাড়া এভাবে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি সম্পূর্ণ অনৈতিক। আদালতে সব বোঝাপড়া হবে। ফিরহাদ আত্মবিশ্বাসী, তাই আদালতের কথা বলেছেন।' এই গ্রেপ্তারি প্রতিহিংসামূলক, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা তৃণমূলের এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে জানান, 'ফিরহাদ বা মদনের গ্রেপ্তারির সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগই নেই।'